বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

তীব্র তাপপ্রবাহে বোরো চাষিদের নাভিশ্বাস

মজিবুর রহমান রনি

বৈশাখের তাপমাত্রা যেন কোনোভাবেই কমছে না। দেখা নেই বৃষ্টির। ভোর থেকে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। দেশজুড়ে চলা গত কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

গরমে দিশাহারা হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে এ সময় চরম বিপাকে পড়েছেন এ জেলার বোরো ধান চাষিরা। তীব্র গরমে মাঠে শ্রমিক সংকট, আর শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৬১৬হেক্টর । লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জন হয়েছে ৯৬২১হেক্টর । ইতোমধ্যে ৩৮ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গরমের কারণে ভোর থেকেই ধান কাটা শুরু করছে অনেক চাষি। তবে, বেলা ১১টার পর তীব্র গরমে মাঠে কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা।

কিছু সময় কাজ করলেই হাঁপিয়ে উঠছেন। ঘামে পরনের কাপড় ভিজে একাকার।

কাজের মাঝে বারবার বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। এতে কাজের গতি কমে যাচ্ছে।

গরমের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। আর শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদের পারিশ্রমিক বেশি দিতে হচ্ছে। এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত হলে বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। তাই তীব্র গরমকে সঙ্গে নিয়েই ধান কাটছেন কৃষকরা।

সদর উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের সুহিলপুর এলাকার কৃষক আজিজ হোসেন বলেন, শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই নিজে নিজেই ধান কাটছি। ভারী বৃষ্টিপাত হলেও ধান নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়।

বিল্লাল নামে এক কৃষক বলেন, গরমে কেউ শ্রম দিতে চায় না। তাই ছেলেদের নিয়ে ভোর ৫টায় মাঠে আসছি ধান কাটতে। বেলা বাড়লে ধান কাটা যায় না। এতো গরম জীবনে কোনোদিন দেখিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন : ,কৃষকদের সুবিধার জন্য ইতিমধ্যে কম্মভাইন্ড হারভেষ্টার দিয়ে ধান কাটা শুরু হয়েছে..
বৃষ্টিহীন পরিবেশ থাকলে কৃষকের ধান কাটা থেকে শুরু করে পরবর্তী ধাপে যেতে সহজ হয়। এজন্য এই পরিবেশকে কৃষক ইতিবাচকভাবেই নেয়

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com